পেনশনারের দ্বিতীয় স্ত্রী বা স্বামীর পেনশন প্রাপ্যতা ২০২৩

কর্তৃক সরকারি আদেশ
0 মন্তব্য 1004 views

সরকারি কর্মচারীগণ চাকুরী শেষে পেনশন প্রাপ্য হবেন। আজীবন প্রাপ্য এই পেনশন তাঁর মৃত্যুতে তার পরিবার প্রাপ্য হন। যদি তার স্ত্রী/স্বামী থাকে তবে তার মৃত্যুতে তিনিই হবেন পেনশন প্রাপ্যতার যোগ্য মনোনীত আজীবন পেনশন ধারী। মূল কথা কর্মচারীর মৃত্যুর পর তার স্ত্রী বা স্বামী আজীবন পেনশন প্রাপ্য হন।

আরও পড়ুনঃ  সরকারি চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের কোটা পদ্ধতি

পেনশনে যাওয়ার আগে যদি দ্বিতীয় স্ত্রী/স্বামী থাকে সেক্ষেত্র ?

দু’জন স্ত্রী বিদ্যমান থাকে এবং অত:পর পেনশনে গেলে উভয় স্ত্রীই সমহারে পেনশন পাবেন। স্ত্রীও পেনশনে যাওয়ার পর দ্বিতীয় স্বামী গ্রহনে পেনশন প্রাপ্য হবেন না। এক স্ত্রীর সন্তান এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর অংশ কেমন হবে এ ব্যাপারেও বন্টন নীতিমালা রয়েছে। মনোনয়ন থাকার ক্ষেত্রে- স্মারক নং ২৫৬৬(৪০)-এফ, তারিখ: ১৬ এপ্রিল, ১৯৫৯ এর সেকশন-২ এর ৫ (২)(এ)(i) নং অনুচ্ছেদ এবং পেনশন সহজীকরণ নীতিমালা ৩.০১ অনুচ্ছেদ এবং সংযোজণী-২ ও সংযোজনী-৩ মোতাবেক একাধিক স্ত্রী এবং পরিবারের একাধিক যোগ্য সদস্য থাকা সত্ত্বে চাকরিজীবী এক বা একাধিক স্ত্রীকে অথবা পরিবারের এক বা একাধিক অন্য কোন সদস্যকে পেনশনের সম্পর্ণ অংশের জন্য মনোনয়ন করিলে মনোনীত অন্য কোন সদস্যকে কেবল মনোনয়ন পত্রে উল্লিখিত হারে পেনশন পাইবেন। এইক্ষেত্রে অন্যান্য স্ত্রী বা পরিবারের অন্যান্য সদস্যগণ পেনশন প্রাপ্য হবেন না। তবে পরবর্তী পর্যায়ে মনোনীত স্বামী/স্ত্রী পুনর্বিবাহ করিলে বা মনোনীত কণ্যা সন্তান বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হইলে মনোনীত পুত্র সন্তানের বয়স ২৫ বৎসর হইলে পেনশন প্রাপ্তির যোগ্যতা হারারে। এইক্ষেত্রে তাঁহাদের অনুকূলে প্রদত্ত মনোনয়ন আপনা হইতে অকার্যকর হইয়া পড়ে বিধায় অন্যান্য স্ত্রীগণ এবং যোগ্য সন্তানগণ পেনশন পাওয়ার অধিকারী হইবেন।

 

পেনশনারের দ্বিতীয় স্ত্রী / স্বামী পেনশন পাবেন না এমন আদেশ নতুন করে জারি করার প্রয়োজনীয়তা কি?

অর্থ মন্ত্রণালয়ের ৩০-০৯-১৯৯৫ খ্রি: তারিখের অস/আবি/বিধি-১/৩পি-২০/৯৫/৯৩(২০০০) নম্বর আদেশ মোতাবেক বেসামরিক সরকারী চাকুরেদের পেনশন মঞ্জুরী সংক্রান্ত প্রচলিত বিধি/পদ্ধতি সহজীকরণ স্মারকের ৩০৫ উপ-অনুচ্ছেদ বর্ণিত বিধবা স্ত্রীর আজীবন পেনশন প্রাপ্যতা প্রসঙ্গে বর্ণনা করা হয়েছে। বর্তমানে স্বামীও আজীবন পেনশন প্রাপ্য হবেন। সম্প্রতি পেনশনে যাওয়া সরকারি কর্মচারীর অন্তিম সময়ে দেখভালের জন্য দ্বিতীয় স্ত্রী বা স্বামী গ্রহণ রোধকল্পে মূলত এ আদেশ জারি করা হয়েছে। এ আদেশ জারির পর বর্তমানে কোন সরকারি কর্মচারী পেনশন ভোগরত অবস্থায় স্ত্রী/স্বামী বিয়োগে একা হলে পুন: বিবাহ বা দ্বিতীয় স্ত্রী/স্বামী গ্রহণ করলে স্ত্রী/ স্বামীর পেনশন দ্বিতীয় স্ত্রী প্রাপ্য হবেন না।

পেনশন ভোগরত অবস্থায় কেউ যদি ২য় স্বামী বা স্ত্রী গ্রহণ করে, সেক্ষেত্রে পারিবারিক পেনশন পাবেন না মর্মে সরকারি আদেশ ।

পেনশন প্রাপ্যতা-২০২৩ এর নতুন আদেশ

এখন তাহলে কি দ্বিতীয় স্ত্রী/স্বামী পেনশন পাবেন না?

দ্বিতীয় স্ত্রী/স্বামী অবশ্যই আজীবন পেনশন পাবেন, তবে পেনশনে যাওয়ার আগে বিয়ে করতে হবে। কোন সরকারি কর্মচারী যদি পেনশনে গিয়ে দ্বিতীয় বিবাহ করেন, তবে সেই দ্বিতীয় স্ত্রী/স্বামী আজীবন পেনশন বা পেনশনের জন্য মনোনীত হবে না। মোট কথা পেনশনারের দ্বিতীয় স্ত্রী/স্বামী অর্থাৎ পেনশন ভোগরত অবস্থায়ী বিবাহ করলে তিনি পেনশন প্রাপ্য হবেন না।

পড়তে পারেনঃ ঈদ ভ্রমণের জন্য অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কিভাবে কিনবেন?

পেনশন ভোগরত অবস্থায় যদি প্রথম স্ত্রী/স্বামী গ্রহণ করেন সেক্ষেত্রে কি হবে?

পেনশন ভোগরত অবস্থায় ১ম স্ত্রী/স্বামী গ্রহণে অবশ্যই পেনশন প্রাপ্য হবেন। অর্থাৎ কোন সরকারি চাকরিজীবী পেনশনে পেনযাওয়া পূর্ব পর্যন্ত যদি অবিবাহিত থাকেন এবং পেনশনে যাওয়ার পর যদি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় তবে তিনি পেনশন প্রাপ্য হবেন। মূলত পেনশনে গিয়ে দ্বিতীয় বিবাহে নিরুৎসাহিত করতে এমন আদেশ জারি করা হয়েছে।

রিলেটেড আরও পোস্ট

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.