কোরবানির পশুর হাটে ও পশু কোরবানিকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার গাইডলাইন

কর্তৃক সরকারি আদেশ
0 মন্তব্য 370 views

উপর্যুক্ত বিষয়ে কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব হতে কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপদ রাখতে ও পশু কোরবানী কালে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কর্তৃক একটি নির্দেশিকা/ গাইডলাইন প্রস্তুত করা হয়েছে। উক্ত গাইড লাইনটি অনুসরণ করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য নির্দেশক্রমে এতদসঙ্গে প্রেরণ করা হল।

 

বিতরণ (জেষ্ঠ্যতার ক্রমানুসারে নহে):

১। সিনিয়র সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

২। সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।

৩। সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

৪। প্রধান তথ্য কর্মকর্তা, পি.আই.ডি (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারের জন্য)।

৫। মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকা।

৬। বিভাগীয় কমিশনার (সকল),

৭। জেলা প্রশাসক (সকল),

৮। প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ঢাকা উত্তর/দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা।

 

অনুলিপি সদয় জ্ঞাতার্থেঃ

১। মাননীয় মন্ত্রীর একান্ত সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

২। সচিবের একান্ত সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।

৩। সিষ্টেম এনালিস্ট, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় (পত্রটি ওয়েব সাইটে প্রকাশের অনুরোধসহ) ।

৪। অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য) এর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।

 

কোরবানির পশুর হাটে ও কোরবানিকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নিমিত্ত নির্দেশিকা/গাইডলাইন হাট কমিটির জন্য নির্দেশনাঃ

১। হাট বসানোর জন্য পর্যাপ্ত খোলা জায়গা নির্বাচন করতে হবে। কোন অবস্থায় বন্ধ জায়গায় হাট বসানো যাবেনা।

২। হাট ইজারাদার কর্তৃক হাট বসানোর আগে মহামারি প্রতিরোধী সামগ্রী যেমন-মাস্ক, সাবান, জীবাণুমুক্তকরণ সামগ্রী ইত্যাদি সংগ্রহ করতে হবে। পরিস্কার পানি সরবরাহ ও হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে তরল সাবান/সাধারণ সাবানের ব্যবস্থা রাখতে হবে। নিরাপদ বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

৩। পশুর হাটের সাথে জড়িত সকল কর্মকর্তা, কর্মচারি ও হাট কমিটির সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। হাট কমিটির সকলের ব্যক্তিগত সুরক্ষা জোরদার করা এবং মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

৪। হাটের সাথে জড়িত সকল কর্মীদের স্বাস্থ্যবিধির নির্দেশনা দিতে হবে। জনস্বাস্হ্যের বিষয়গুলি যেমন মাস্ক এর সঠিক ব্যবহার, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার, শারীরিক দূরত্ব, হাত ধোয়া, জীবাণুমুক্তকরণ বিষয় গুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি সমূহ সার্বক্ষণিক মাইকে প্রচার করতে হবে।

৫। মাস্ক ছাড়া কোন ক্রেতা-বিক্রেতা হাটের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন না। হাট কর্তৃপক্ষ চাইলে বিনামূলো মাস্ক সরবরাহ করতে পারেন বা এর মূল্য নির্ধারণ করে দিতে পারেন।

৬। প্রতিটি হাটে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক ডিজিটাল পর্দায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি প্রচার করতে হবে।

৭। পশুর হাটে প্রবেশের জন্য গেট (প্রবেশপথ ও বাহিরপথ) নির্দিষ্ট করতে হবে।

৮। পর্যাপ্ত পানি ও ব্লিচিং পাউডার দিয়ে পশুর বর্জ্য দ্রুত পরিষ্কার করতে হবে। কোথাও জলাবদ্ধতা তৈরি করা যাবে না।

৯। প্রতিটি হাটে সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভা/ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক এক বা একাধিক ভ্রাম্যমান স্বেচ্ছাসেবী মেডিকেল টিম গঠন করে সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। মেডিকেল টিমের নিকট শরীরের তাপমাত্রা মাপার জন্য ডিজিটাল থার্মোমিটার রাখা যেতে পারে, যাতে প্রয়োজনে হাটে আসা সন্দেহজনক করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের দ্রুত চিহ্নিত করা যায়। এছাড়া তাৎক্ষনিকভাবে রোগীকে আলাদা করে রাখার জন্য প্রতিটি হাটে একটি আইসোলেশন ইউনিট (একটি আলাদা কক্ষ) রাখা যেতে পারে।

১০। একটি পশু থেকে আরেকটা পশু এমনভাবে রাখতে হবে যেন ক্রেতাগণ কমপক্ষে ৩(তিন) ফুট বা ২ (দুই) হাত দূরত্ব বজায় রেখে পশু ক্রয় করতে পারেন।

১১। ভিড় এড়াতে মূল্য পরিশোধ ও হাসিল আদায় কাউন্টারের সংখ্যা বাড়াতে হবে।

 

রিলেটেড আরও পোস্ট

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.