জেনে নিন ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডের পার্থক্য

কর্তৃক সরকারি আদেশ
0 মন্তব্য 504 views

বর্তমানে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারী সংখ্যা বেড়েছে। শপিংমল থেকেই হোক বা অনলাইনে কেনাকাটা সবখানেই ব্যবহৃত হচ্ছে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড। মানিব্যাগে টাকা রাখার চেয়ে পাতলা এই প্লাস্টিকের কার্ড ব্যবহার করার সুবিধা অনেক।

বর্তমানে এসব কার্ড দিয়ে টাকা ওঠানোর সুব্যবস্থাও আছে সবখানেই। যে কোনো জায়গাতেই আপনি বিভিন্ন ব্যাংকের বুথ পেয়ে যাবেন। যেখান থেকে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা তুলতে পারবেন সহজেই।

বর্তমানে কার্ড ব্যবহারকারীদের সংখ্যা বাড়লেও এখনো অনেকেরই জানা নেই এই দু’ধরনের কার্ডের কাজ কী? চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের মধ্যে পার্থক্য কী?

ডেবিট কার্ড কী?

সহজভাবে বলতে গেলে, যে কার্ডে নিজের জমানো টাকা থাকে সেটি হলো ডেবিট কার্ড। ব্যক্তিগত সেভিংস বা কারেন্ট অ্যাকাউন্টধারীদের এই কার্ড দেওয়া হয়।

ডেবিট কার্ড দিয়ে কেনাকাটা করলে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সঙ্গে সঙ্গেই টাকা কেটে নেওয়া হয়। ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে কেনাকাটার পাশাপাশি এটিএম থেকে টাকাও তোলা যায়।

সেভিংস অ্যাকাউন্টে সাধারণত নিজের ব্যাংক থেকে মাসে ৫ বার ও অন্য ব্যাংক থেকে ৩ বার টাকা তোলা যায়। আর অন্যান্য ব্যাংকের বুথ থেকে যদি কোনো ট্রানজ্যাকশন করেন তাহলে (ব্যালেন্স ইনকোয়ারি, মিনি স্টেটমেন্ট প্রভৃতি) প্রথমবার থেকেই চার্জ দিতে হবে।

ক্রেডিট কার্ড কী?

ক্রেডিটের সহজতম বাংলা হলেঅ ধার বা ঋণ। ধারে জিনিস কেনার আধুনিকতম রূপ ক্রেডিট কার্ড। এই কার্ড ব্যবহারকারীকে ব্যাংকের থেকে ঋণমাত্রা (ক্রেডিট লিমিট) দেওয়া হয় কেনাকাটা করার জন্য। তাই কিছু কিনলে ক্রেতার হয়ে ব্যাংক টাকা পরিশোধ করে।

ক্রেতাকে ২০-৫০ দিনের সময় দেওয়া হয় ব্যাংককে ওই টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, ব্যাংকের লাভ কী এতে? অনেক সময়ই ক্রেতা সময়মতো টাকা পরিশোধ করতে পারেন না, তখন ব্যাংক ওই টাকার উপর চড়া সুদ ধার্য করে।

আবার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে যারা ইএমেই দিয়ে কোনো কিছু ক্রয় করেন, সেখানেও ব্যাংকের লাভ থাকে। ক্রেডিট কার্ডে এটিএম থেকে টাকা তুললেও বড় অঙ্কের চার্জ দিতে হয়।

জেএমএস/এমএস

রিলেটেড আরও পোস্ট

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.