এতদ্বারা সর্বসাধারণকে জানানো যাচ্ছে যে, নিবন্ধিত ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনার ব্যতীত অন্য কারো ভেটেরিনারি চিকিৎসা বা শল্য চিকিৎসা করা বা নামের আগে ডা: উপাধি ব্যবহার করা আইনতঃ দন্ডনীয় অপরাধ। ভেটেরিনারি সেবা গ্রহনের সময় সন্দেহ হলে কাউন্সিলের ওয়েরসাইটে (www.bvc.gov.bd) এ প্রবেশ করে Doctor’s Database থেকে নিবন্ধিত
ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনার সম্পর্কে নিশ্চিত হউন।
ভেটেরিনারি চিকিৎসা সংক্রান্ত বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন-২০১৯ এর কতিপয় ধারা নিম্নরূপ:
১৭। নিবন্ধন ও সনদ ব্যতীত ভেটেরিনারি প্র্যাকটিস নিষিদ্ধ।- আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন নিবন্ধন ও সনদ ব্যতীত কোন ব্যক্তি ভেটেরিনারি প্র্যাকটিস করিতে বা নিজেকে ভেটেরিনারি চিকিৎসক বা ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনার বলিয়া পরিচয় প্রদান করিতে পারিবেন না।
৩৫। নিবন্ধন ও সনদ ব্যতীত ভেটেরিনারি প্র্যাকটিস করিবার দন্ড। – কোন ব্যক্তি নিবন্ধন ও সনদ
ব্যতীত ভেটেরিনারি প্র্যাকটিস করিলে উহা এই আইনের অধীন অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে এবং
তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কারাদন্ড অথবা অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদন্ড
অথবা উভয়দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।
৩৮। মিথ্যা বা প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করিবার দন্ড।- (১) কোন ব্যক্তি
(ক) নিবন্ধিত না হইয়া নিজেকে ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনার বা প্যারাভেট বলিয়া পরিচয় প্রদান করিলে; (খ) প্রতারণা করিয়া ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনার হিসাবে নিবন্ধন করিলে বা নিবন্ধন করিবার উদ্যোগ গ্রহণ করিলে; (গ) প্রতারণামূলকভাবে তাহার নাম, পদবির সহিত নিবন্ধিত প্র্যাকটিশনার মর্মে কোন শব্দ, বর্ণ বা অভিব্যক্তি ব্যবহার করিলে; (ঘ) মিথ্যা বা প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করিয়া ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনার বা প্যারাডেট হিসাবে প্রতিনিধিত্ব করিলে; (ঙ) নিবন্ধিত ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনার না হইয়া তাহার নামের সহিত ডাক্তার বা “ডাঃ” উপাধি ব্যবহার করিলে; অথবা (চ) প্যারাডেট হইয়া নিজেকে ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনার হিসাবে পরিচয় দিলে বা তাহার নামের পূর্বে ডাক্তার বা “ডাঃ” উপাধি ব্যবহার করিলে উহা এই আইনের অধীন একটি অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) বৎসরের কারাদন্ড বা অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয়দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন অপরাধ সংঘটনে সহায়তাকারী ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত দন্ডের সমদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।
উপরে বর্ণিত আইনের কতিপয় ধারা মোবাইল কোর্ট আইন-২০১৯ এর তফসিলভূক্ত হয়েছে। উল্লেখিত ধারা সমূহের অনুকূলে শীঘ্রই মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হবে। তাই, সংশ্লিষ্ট সকলকে বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন ২০১৯ যথাযথভাবে মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।