[ যে কোন ধরনের প্রতারণা রোধে বাংলাদেশ পুলিশ সদা সক্রিয়। এ লক্ষ্যে, সন্দেহভাজন প্রতারকদের চিহ্নিত করতে এবং সংগঠিত প্রতারণার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতারকদের আইনের আওতায় আনতে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশের মাঠপর্যায়ের বিভিন্ন ইউনিট। তবে, শুধুমাত্র আইন প্রয়োগ করে এ ধরনের অপরাধ সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা খুব সহজ নয়। এক্ষেত্রে, সামাজিক সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তাই, আসুন এ ধরণের প্রতারণা এড়াতে কিছু সাধারণ পরামর্শ মেনে চলি।]
দেশের ভিতর বা বাহির থেকে আপনার মোবাইলে কল করে বা এসএমএস, ইমেইল, হোটঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, ইমো ইত্যাদির মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে আপনাকে হয়তো জানানো হবে যে আপনি অনেক মুল্যবান কোন লটারি জিতেছেন। আবার, কখনো কখনো খুব পরিচিত কোনো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করেও আপনাকে জানানো হতে পারে যে ঐ কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বিশেষ কোনো উপলক্ষের প্রেক্ষিতে আপনাকে পুরস্কার দেয়ার জন্য মনোনিত করেছে।
লটারি বা পুরস্কারের টাকা পাবার জন্য আপনার পরিচয় নিশ্চিত করতে প্রথমে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র বা এ ধরণের অন্য কোনো ডকুমেন্টের কপি চাইবে।
আপনি সেটি পাঠালে পরবর্তিতে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে আপনাকে বিকাশ বা অনলাইনে
বিভিন্ন পরিমানের টাকা পাঠাতে বলবে।
অনেক সময় বিশ্বস্ততা অর্জনের জন্য প্রতারক আপনাকে লটারি বা পুরস্কার প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির নানা রকমের ডকুমেন্ট (আইডি কার্ড, লাইসেন্স, সার্টিফিকেট, ব্যাংক ডকুমেন্ট ইত্যাদি) এর ছবি পাঠাবে।
পরামর্শঃ লোভে পড়বেন না। আপনি যদি কখনো এধরনের কোন লটারি ক্রয় করে না থাকেন বা কোনো পুরস্কারের জন্য আবেদন করে না থাকেন তাহলে নিশ্চিতভাবেই ধরে নিবেন যে এটা কোন প্রতারকের কাজ। এধরণের মেসেজ পেলে কোনো প্রকার রিপ্লাই দেয়া থেকে বিরত থাকুন।
বিঃ দ্রঃ প্রতারণার শিকার হলে বিলম্ব না করে পুলিশকে অবগত করুন।