বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ২০২৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সভাপতিত্ব করেন এবং বলা হয় যে, নতুন কোনো বিকল্প ব্যবস্থা চালু না হওয়া পর্যন্ত এই পেনশন স্কিম কার্যকর থাকবে ।
সর্বজনীন পেনশন স্কিমটি ২০২৩ সালে প্রবর্তিত হয়, যার উদ্দেশ্য দেশের সকল শ্রেণির মানুষের জন্য একটি সুসংগঠিত পেনশন ব্যবস্থা গড়ে তোলা। এই স্কিমের আওতায় ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সকল বাংলাদেশি নাগরিক অংশ নিতে পারবেন। তবে, বিশেষ বিবেচনায় ৫০ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকরাও ১০ বছর নিয়মিত চাঁদা প্রদান করলে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন ।
এই স্কিমের মাধ্যমে প্রবাসী কর্মীদের জন্যও বিশেষ সুবিধা রাখা হয়েছে, যেখানে তারা বৈদেশিক মুদ্রায় প্রেরিত চাঁদার ২.৫% প্রণোদনা পাবেন। চাঁদার টাকা বিভিন্ন নিরাপদ বিনিয়োগে ব্যবহার করা হবে এবং মাসিক পেনশন বাবদ প্রাপ্ত অর্থ আয়কর মুক্ত থাকবে ।
সার্বিকভাবে, এই পেনশন স্কিমটি দেশের সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।