শিক্ষাদানে সাধারণ ত্রুটি সমূহঃ
১। বই দেখে দেখে পাঠ দান করা।
২। শিক্ষার্থীদের ‘তুই’ বলে সম্বোধন করা।
৩। সময়মত পাঠদান শেষ করতে না পারা।
৪। শিক্ষকের আঞ্চলিক ভাষার প্রয়োগ।
৫। অশালীন শব্দ বা অপ্রাসঙ্গিক ভাষা প্রয়োগ করা।
৬। চেয়ার/ টেবিলের ওপর বসে পাঠদান করা।
৭। বোর্ড ব্যবহার না করে পাঠদান কার্যকক্রম পরিচালনা করা।
৮। শিক্ষকের ব্যক্তিগত কথা অর্থাৎ নিজের প্রশংসা নিজে করা।
৯। নিজের রুচি, পোশাক ও ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে সচেতন না থাকা।
১০। শিক্ষার্থীদেরকে শারীরিক কিংবা মানসিক শাস্তি প্রদান করা।
১১। পাঠদানকালে ভুল তথ্য দেওয়া বা না জেনে ভুল উত্তর দেওয়া।
১২। শিক্ষার্থীদের নাম না জেনে এই ছেলে ঐ মেয়ে ইত্যাদি সম্বোধন করা।
১৩। শ্রেণিকক্ষে কোন শিক্ষার্থীর প্রতি বিশেষ আগ্রহ দেখানো কিংবা বিদ্বেষ পোষণ করা।
১৪। পাঠ অনুযায়ী প্রশিক্ষণ সহায়ক সামগ্রী যেমনঃ চার্ট, মডেল, ম্যাপ ইত্যাদি ব্যবহার না করা।
উপর্যুক্ত দোষ ত্রুটি সংশোধনের উপায় সমূহঃ
১। কটুক্তি বা শারীরিক শাস্তি প্রদান থেকে বিরত থাকা।
২। বিষয়বস্তুর ওপর পূর্ব প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা গ্রহণ করে পাঠদান করা।
৩। শিক্ষকের সহযোগিতা ও আন্তরিকতাপূর্ণ মনোভাব বজায় রাখা।
৪। শ্রেণিতে শৃংঙ্খলা ও পরিচ্ছন্নতা বজয় রাখা।
৫। দূর্বল, অমনোযোগী শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশেষ যত্ন নেয়া।
৬। সময়মত ক্লাসে গমন করা এবং নির্ধারিত সময়ে সিলেবাস শেষ করা।
৭। আঞ্চলিক ভাষা পরিহার করে শুদ্ধ উচ্চারণের মাধ্যমে পাঠ দান করা।
৮। বিষয় ও বিষয়ের বাইরে জ্ঞান অর্জনের চেষ্টা করা ও
সমকালীন বিষয় সম্পর্কে পত্রিকা পাঠে অবগত হওয়া।
৯। শিক্ষকতা পেশাকে ব্রত হিসেবে গ্রহণ করা।
অর্থাৎ নিজ পেশার প্রতি সম্মন প্রদর্শন করা।
১০। শিক্ষার্থীদেরকে তিরস্কার করার পরিবর্তে উৎসাহমূলক মন্তব্য করা,
কাজের স্বীকৃতি দেয়া ও পুরস্কৃত করা।
১১। শ্রেণিতে পাঠকে সহজ ও সুন্দর ভাবে উপস্থাপনের জন্য পাঠ
উপযোগী ও সহজলভ্য উপকরণ ব্যবহার করা।