চিকুনগুনিয়া কী?
চিকুনগুনিয়া একটি ভাইরাসজনিত জ্বর যা এডিস মশার কামড়ে ছড়ায়। এ মশা মূলত দিনের বেলা এবং ঘরের বাইরেই বেশী কামড়ায়।
লক্ষণসমূহঃ
১. তীব্র জ্বর (১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠতে পারে)
২. অস্থিসন্ধিতে তীব্র ব্যথা ও ফুলে যাওয়া।
৩. মাথাব্যথা, চোখজ্বালা, গায়ে লাল দানার মত র্যাশ ওঠা
৪. জ্বর উপশমের পরেও অনেক দিন অস্থিসন্ধির ব্যথা থাকতে পারে
রোগ নির্ণয়ঃ
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের সাথে এর মিল থাকলেও রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে চিকুনগুনিয়া ভাইরাস নির্ণয় করা যায়।
চিকিৎসাঃ
অন্যান্য ভাইরাস জ্বরের মতোই এ জ্বরের চিকিৎসা রোগের লক্ষণভিত্তিক।
১. রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে রাখা।
২. প্রচুর পানি ও অন্যান্য তরল খেতে দেওয়া।
৩. জ্বর উপশমের জন্য প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ সেবন করা।
৪. তীব্র ব্যথার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যথানাশক ঔষধ সেবন করা যেতে পারে।
৫. আক্রান্ত রোগীকে মশারীর ভিতরে রাখা।
প্রতিরোধঃ
চিকুনগুনিয়া জ্বরের কোনো প্রতিষেধক নেই। তাই রোগ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় এডিস মশা প্রতিরোধ।
১. ঘরের এবং আশেপাশের যে কোন পাত্রে বা জায়গায় জমে থাকা পানি তিন দিন পরপর ফেলে দিলে এডিস মশার লার্ভা মরে যাবে।
২. ব্যবহৃত পাত্রের গায়ে লেগে থাকা মশার ডিম অপসারণে পাত্রটি ঘষে পরিষ্কার করতে হবে।
৩. ডাবের খোসা, কোমল পানীয়ের ক্যান, ফুলের টব, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, চিপসের প্যাকেট ইত্যাদিতে জমে থাকা পানিতে এডিস মশা ডিম পাড়ে।
৪. দিনে বা রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারী ব্যবহার করতে হবে।
৫. যতদুর সম্ভব পোশাক দ্বারা শরীর আবৃত রাখতে হবে যাতে মশা কামড়াতে না পারে।
৬. শরীরের অনাবৃত স্থানে (মুখমন্ডল ব্যতীত) মশা নিবারক ক্রীম/লোশন (ওডোমস্) ব্যবহার করা যেতে পারে।
৭. প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।